শেরপুরের তুলশীমালা চাল দিয়ে শুরু করে মন্ডা, গুড়ের সন্দেশের পর ছানার পায়েসের ক্রেতা হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা আপু।

শেরপুরের ছানার পায়েসের উত্তরত্তোর পরিচিতি পাক এবং জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করুক সেই দোয়া ও শুভ কামনা রাখি। ছানার পায়েস নিয়ে তুলশীমালা চালের মতো বাজিমাত করুক আওয়ার শেরপুরের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার ভাই সেই দোয়া করি।

তুলশীমালা চাল আপনার সবচেয়ে পছন্দের জেনে আমি আনন্দিত। একই সাথে তৃপ্ত আপনার সাথে এই চালের পরিচয় তৈরি করতে পেরে। নতুবা হয়তো আন্টির থেকে তুলশীমালা চাল জানা হতো না আপনার। সবচেয়ে ভালো লেগেছো আপনার কলিজার টুকরা প্রথম সলিড খাবার দিয়েছেন এই চাল দিয়ে হয়েছে জেনে। কৃতজ্ঞতা আপু তুলশীমালা চালকে পছন্দের তালিকায় রাখার জন্য এবং সর্বক্ষেত্রে বাসায় ব্যবহার করার জন্য।

তুলসিমালা চাল প্রথম চিনেছি আমি ২০২০ সালে Md Daloare Hossain ভাই এর মাধ্যমে। ভাইয়া ফেইসবুকে প্রতিদিন তুলসিমালা চালের বিশেষত্ব নিয়ে লিখতেন এবং উনার ক্রেতাদের থেকে ভিডিও রিভিউ নিতেন। এই চালের এতো এতো পজিটিভ ফিডব্যাক দেখেই তখন আমিও অর্ডার করি। এরপর থেকে অনেক বার এ পর্যন্ত দেলোয়ার ভাই এর তুলসিমালার ক্রেতা হয়েছি।

তবে মজার ব্যাপার হলো, আমি তুলসিমালাকে প্রথম ভাইয়ার থেকে চিনলেও, বাসায় অর্ডার করে আনার পর আম্মু বলেছিল, “আরে এই তুলসিমালা চাল তো আমাদের বাড়িতে চাষ করা হত আগে, আমরা সারাবছর তুলসিমালার বিরিয়ানি, খিঁচুড়ি, পায়েস এসব খেতাম।” এরপর থেকে তুলসিমালা চাল বাসায় শেষ হয়ে গেলেই আম্মু আমাকে ভাইয়ার থেকে অর্ডার করতে বলে।

কিছুদিন আগে এই বছরে তোলা নতুন চাল দেলোয়ার ভাই তার ভাগ্নের জন্য পাঠিয়েছিলেন। আহনাফ তো তার প্রথম সলিড খাবার শুরুই করেছে এই তুলসিমালার জাউ ভাত খেয়ে। আজকে আমরাও আহনাফের তুলসিমালা চাল থেকে কিছুটা ভাগ নিয়ে বিরিয়ানি রেঁধে খেলাম।

আজকের বিরিয়ানি একদম অন্য রকম মজা হয়েছে এটা বাসার সবাই বলেছে। আর বিশেষ করে নিজের রান্না আমার কাছে কখনোই পারফেক্ট লাগে না, সব সময় কোনো না কোনো খুঁত খুঁজে বের করি আমি। কিন্তু আজকের রান্না খেয়ে আমি নিজেই নিজেতে মুগ্ধ হয়েছি আর কি। তবে ক্রেডিট নিজেকে নাকি Our Sherpur এর তুলসিমালাকে দিব তা বুঝতে পারছি না।

সেই ২০২০ সালে দেওয়া আপনার ভিডিও রিভিউ আমি যথা সম্ভব সর্বত্র দেখাই। সবসময় আমাদের ক্রেতা হয়ে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

আলহামদুলিল্লাহ্

শরীর টা গতকাল থেকে ভালো না কিন্ত ভাইয়ার চাল রান্না করবো মাথায় ছিল তাই রান্না করেই ফেললাম। সাথে ছিল খাসির মাংস।

সবসময় শেরপুরের তুলশীমালা চাল ব্যবহার করার জন্য কৃতজ্ঞতা আপু।

তুলসিমালা চাল ব্যবহার করে আমরা অনেকে এসিডিটি থেকে মুক্ত থেকেছি। রোজার মাসে পোলাও, খিঁচুড়ি, পায়েস যেকোন কিছুতেই আমার তুলসিমালা চাল ভালো লাগে। এ চালটা ব্যবহারের পর থেকে আমি অন্য চাল ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করিনা। তাই দেলোয়ার ভাই কে মাঝে মাঝেই জ্বালাই এ চালের জন্য। বাচ্চাদের খাবারের জন্য ও চালটা দারুণ।

ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা চালের সাথে আমাদের পরিচয় করানোর জন্য।