মন্ডা (Monda) একটি বিখ্যাত খাবার। শেরপুর ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মন্ডা উৎপাদন হয়। উভয় মন্ডার স্বাদ ও আকৃতিতে কিছুটা প্রার্থক্য রয়েছে। ২০২০ সালের ২১শে আগস্ট (শুক্রবার) রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডিতে ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে মন্ডার জার্নি শুরু হয়।
মন্ডা (Monda) তৈরির ইতিহাস
মন্ডার ইতিহাসের কথা বর্ণনা করে ‘নয়া শতাব্দী’ ও ‘বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’ লিখেছে, শেরপুরের জমিদারদের সাথে মুক্তাগাছার জমিদারদের আত্মীয়তার কারণে নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিলো। তাঁরা শেরপুর আসার সময় মন্ডা তৈরির কারিগর নিয়ে আসতেন। এই কারিগরগণ শেরপুরে প্রাপ্ত গরুর দুধ দিয়ে উন্নত মানের মন্ডা তৈরিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন।
জমিদারদের আগমনের সময় যেন সর্বদা মুক্তাগাছা থেকে মন্ডা তৈরির কারিগর সাথে করে নিয়ে আসতে না হয় তাই শেরপুরের মিষ্টি তৈরির কারিগরদের মন্ডা (Monda) তৈরির কৌশল শেখানো হয়। এর ফলে জমিদার পরিবার সর্বদা মন্ডার স্বাদ নিতে পারতেন।
পুরো সংবাদ পড়ে বুঝা যায় শেরপুরের জমিদার সহ মুক্তাগাছার জমিদারগণ তৃপ্ত হতেন নবীন কারিগরদের মন্ডা খেয়ে। এরপর থেকে আর শেরপুরে মন্ডা তৈরি বন্ধ হয়নি। একটা সময় জমিদারদের প্রসিদ্ধ মন্ডা ছড়িয়ে যায় প্রজাদের মাঝে। আর সেই মন্ডাই আমাদের মাঝে রাজধানী ঢাকায় পাওয়া যায় হোম ডেলিভারি।

শেরপুরের মন্ডার বৈশিষ্ট্য
- মন্ডা শুকনা জাতীয় মিষ্টি।
- এটি দেখতে সাদা আকৃতির হয়ে থাকে।
- মিষ্টির পরিমাণ কম হয়।
- ছানা, ক্ষীর, চিনি ও এলাচি গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হয়।
- শেরপুর অঞ্চলের গরুর খাঁটি দুধের কারণে মন্ডার স্বাদ অনন্য।
মন্ডার গল্প
মন্ডা নিয়ে স্থানীয়ভাবে নানারকম গল্প প্রচলিত আছে। মুখে মুখে প্রচলিত গল্প ছাড়াও বই পুস্তকে স্থান পেয়েছে কিছু গল্প। কবি ও সাংবাদিক রফিক মজিদ বাবাদের ফিলিংস নাই শিরোনামে একটি গল্প লিখেছেন। সেখানে তিনি বর্ণনা করেছেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকা একজন নিজের সন্তানের মুখে তোল দেওয়ার জন্য মন্ডাকে আদর্শ মনে করেছেন। গল্পটি স্থান করে নিয়েছে ২০২৩ সালে অমর অকুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এ নব সাহিত্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত অভিমানী কন্যা নামক বইতে।
৯০ এর দশকে শেরপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা বাজি ধরতেন মন্ডা খাওয়ার। এই গল্প ফুটে উঠেছে জিতে গেলাম মন্ডা বাজিতে অনুগল্পতে।
এছাড়াও স্থানীয়ভাবে রেজওয়াজ আছে গ্রাম থেকে শহরে আসলে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের জন্য মন্ডা / monda নিয়ে যাওয়া। স্ত্রীকে খুশি করার জন্য স্বামী নিয়ে যান মন্ডা, বাবা তার সন্তানের মুখে হাশি ফুটানোর জন্য মন্ডা নিতে ভুল করেন না ইত্যাদি।
Marzana Rifat –
বক্স ভর্তি ভালোবাসা নিয়ে ঢাকা পেরিয়ে আজ ঢাকার বাহিরে সেরপুরের মন্ডা।
Khadiza Akter Tohura –
মণ্ডা অনেক মজা ছিল Md Daloare Hossain ভাইয়া । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
Setu Hossain –
সত্যিই মজার আমাদের শেরপুরের মন্ডা
Arifa Khatun –
আমার মেয়ে তো মন্ডা দেখলেই খাওয়ার জন্য চিৎকার শুরু করে দিচ্ছে .যাকে পানি দিয়ে খাবার গিলাতে হয় সে রিতিমতো আপনার মন্ডা খাওয়ার জন্য চিৎকার দিচ্ছে ..অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া বাসায় এসে পার্সেল দিয়ে যাওয়ার জন্য
Bornali Chakraborty –
শেরপুরের মন্ডা খেতে চেয়েছিলাম আপনার কাছে। আশা পূরণ করেছেন। আর তুলসী মালা চাল তো আগেও নিয়েছি আবারও নিলাম। ভবিষ্যতেও নিবো। অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
Nusrat Jahan Jolly –
মন্ডা ভালো ছিল। ফ্রেশ ছিল। প্রাইজ টা কম্প্রোমাইজ করা যায় কিনা সেটা দেখবেন। প্রাইজটা একটু কম হলে সকল ক্রেতাদের জন্য সুবিধা হবে।
Tanjila Khanom –
ঠোঁটের উপর মন্ডা লেগে আছে। মন্ডা খেয়েই এমন হাসি দিয়েছে আমার কন্যা।
Sadia Sharmin Sany –
অনেক অনেক ধন্যবাদ Md. Daloare Hossain ভাই। এমন সারপ্রাইজ গিফট এর জন্য। কাল আপনার ফোন পেয়ে সত্যিই অবাক আবার আজকে এই গিফট। আপনার কাস্টমার সার্ভিস বেস্ট সাথে প্রডাক্ট ও। আপনার তুলশিমালা চাল এর এমনিতেই আমি ভক্ত। অনেক বছর পর শেরপুর এর ঐতিহ্যবাহী মন্ডা খেলাম। যদিও ডাইট এর ১৩ টা বাজছে। তবে অসাধারণ মজার।। খুব খাটি একটা সাদ। মুখে লেগে থাকার মত। আবার ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই গিফট এর জন্য।
Mst Ruksana Sultana –
শেরপুরে যাতায়াত থাকলেও শেরপুরের মন্ডার কথা জানতাম না। তুলশীমালা চালের মতোই শেরপুরের মন্ডা সম্পর্কে জানলাম আপনার কাছ থেকেই প্রথম। সেই মন্ডামুখ করেছিলাম আরিফার বাসাতেই।
Rotna Rofiq –
শেরপুরের মন্ডার কোন তুলনা হয় না।