তুলশীমালা চাল (Tulshimala Rice) এক প্রকার সুগন্ধী যুক্ত আতপচাল। এটি আকারে ছোট ও চিকন। এই চাল কেবল শেরপুর জেলাতে জন্মায়। তাই বলা যায় এই জেলার মাটি, পানি, আবহাওয়া তুলশীমালা ধানের জন্য বিশেষ উপযোগী। এই চালের বেশি কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
তুলসীমালা চালের বৈশিষ্ট্য
- তুলসীমালা চাল চিকন, ছোট ও সুগন্ধী যুক্ত।
- এটি একপ্রকার আতপচাল।
- এই চালের খাবার কিছুটা নরম হয়।
- যেকোন খাবার হয় সুস্বাদু।
- ফুল থেকে ধান পাকা পর্যন্ত ৫ বার রং বদলায়।
তুলশীমালা চাল (Tulsimala Rice) দিয়ে কি কি খাওয়া যায়?
- পোলাও রান্নার জন্য বিখ্যাত তুলসীমালা চাল।
- পায়েস, খিচুড়ি ও বিরিয়ানি রান্না করা যায়।
- দেশি প্রায় সব ধরনের পিঠা তৈরি করা যায়।
- ফ্রাইড রাইস ও অন্যান্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
- নিয়মিত ভাত খাওয়া যায় দিয়ে।
- শিশু খাদ্য এবং বয়স্ক কিংবা অসুস্থ্যদের খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়।
অন্যান্য তথ্য
তুলশিমালা চাল (Tulshimala Rice) শেরপুর জেলার প্রায় সবগুলো উপজেলাতে কম-বেশি উৎপাদন হয়। ধানের আকৃতি কালো বর্ণের এবং চালের রঙ অনেকটা সাদা হয়ে থাকে। অন্যান্য ধানের তুলনায় তুলশীমালা ধানের ফলন কম হয়। এই ধান উৎপাদন করতে সারের প্রয়োগ তেমন একটা চোখে পড়ে না। তুলশীমালা ধান চাষাবাদের সময় ’বলন’ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে ধান কাটা হয় এবং জানুয়ারি থেকে নতুন চাল পাওয়া যায়। পুরাতন চালের তুলনায় নতুন চালের ঘ্রাণ বেশি। পিঠা ও পায়েস হয় সুস্বাদু। তবে পুরাতন চালের খাবার ঝরঝরে হয়। বিশেষ করে ভাত ও বিরিয়ানি চমৎকার হয়।
ধান থেকে চাল পাওয়ার পর আত্মীয় বাড়িতে এই চাল উপহার পাঠানোর রেওয়াজ বহুকালের। মূলত মেয়ে ও নাতি-নাতনি কিংবা জামাই যেন নতুন চালের পিঠা পায়েস খাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় তাই উপহার যায় বাপের বাড়ি থেকে। প্রচলিত আছে, ব্রিটিশ আমলে জমিদার বাড়িতে ইংরেজদের আতিথিয়েতায় তুলশীমালা চালের খাবারদাবারের বিশেষ আয়োজন হতো এবং বিদায় দেওয়ার সময় উপহার হিসেবে তাদের গাড়িতে দিয়ে দেওয়া হতো এই চাল। পরবর্তীতে বিশেষ মহলে এই উপহার প্রথা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে শেরপুরের তুলশীমালা ধান। ফলে এই চালের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন রাখার অবকাশ নেই।
Rohima Begum Sheuli (verified owner) –
আপনার তুলশীমালা চাল খেয়ে আমার মেয়েদের অসাধারণ লেগেছে। চিরাচরিত খাবার কিন্তু অসাধারণ স্বাদ।
ধন্যবাদ এই চমৎকার চাল পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
Md Daloare Hossain –
আলহামদুলিল্লাহ্। খুবই ভালো লাগছে জেনে।
Elean R Dilruba (verified owner) –
Ami to akhon Tulshimala chal tai khai polau, khichuri, biriyani r jonno.
Md Daloare Hossain –
Alhamdulillah
Elean R Dilruba (verified owner) –
Tehari korlam ajke tulsimala chal dia. Etar taste ta onek valo lage r acidity hoina tai nischinte khete pari Alhamdulillah
Md Daloare Hossain –
Alhamdulillah, Tulshimala chal use korar jonno thank you very much.
Ummay Shahera (verified owner) –
আজ বাসায় তুলশীমালা চালের চিকেন বিরিয়ানী রান্না করেছিলাম। আমি আর কাজল ইফতার করেছি এই বিরিয়ানি দিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ। সাধারণত সারাদিন পর এ ধরনের খাবার খেলে অস্বস্তি হয় তুলশীমালা চালে রান্না করা খাবারে তেমনটা হয়না৷ তাই চেষ্টা করি রমজান মাস বা বছরের অন্যান্য সময়ের ইফতারে তুলশীমালা চাল ব্যবহার করতে।
Md Daloare Hossain ভাই, রাহিবের চাল আজকে আমি শেষ করেছি। আবার চাল পাঠিয়ে দিয়েন।
Md Daloare Hossain –
ইফতারের তুলশীমালা চালের ব্যবহার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু
Ummay Shahera (verified owner) –
২০২০ সাল থেকে নিয়মিত আমি তুলশীমালা চাল ব্যবহার করি বাসায়। রমজান মাসে এই ব্যবহার বৃদ্ধি পায়, এর কারণ এই চাল দিয়ে বাসার পাকা রাধুনি (ছোট ছেলে) সহজে রান্না করতে পারে। সুযোগ পেলেই টিমের বাকিদের সাথে রাহিবের রান্নার গল্প করি। বাসার বাইরে থাকলে ওর রান্নার অভ্যাস আমাকে অনেকটা নিশ্চিন্ত করে। পোলার চালে পানির মাপ টা খুব গুরুত্বপূর্ণ রাহিব বিরিয়ানি আর ফ্রাইড রাইস রান্না করতে বেশী পছন্দ করে। ওর হুটহাট রান্না নিশ্চিত করতেই Md Daloare Hossain ভাইকে চালের জন্য ঘন ঘন নক করতে হয়৷
Md Daloare Hossain –
আপনার পরিবারের সবাই তুলশীমালা চালের নিয়মিত ব্যবহারকারী হওয়ার কারণে আমি আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞতা সকলের প্রতি।
Biply Chakma (verified owner) –
দেলোয়ার ভাই এর তুলশীমালা চালের গুণাগুণ সম্পর্কে কে না জানে? এ পর্যন্ত অনেক সুন্দর সুন্দর রিভিউ এসেছে। তাই ভেবেছি এর জন্য রিভিউ দিতে হলে আলাদা এক্সপেরিমেন্ট করে রিভিউ দেয়া উচিত। তাই দুঃখিত ভাই দেরিতে রিভিউ দেয়ার জন্য। আমাদের পাহাড়ে ও অনেক চাল আছে অনেক চালের ভাত খেয়েছি কিন্ত এই চাল টা একদম সব চালের চেয়ে সেরা চাল। তাই নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তুলশীমালা চালের ২ টি মেনু বানালাম।
১. পাহাড়ি কলা ও তুলশীমালা চালের কলাপিঠা
২. পাহাড়ি মুরগি দিয়ে বেম্বু বিরিয়ানি
ভাইয়াকে অর্ডার করার ৪ দিন পরই চালগুলো হাতে পেয়েছি। কিন্তু মেনু গুলো বানানোর জন্য সব উপকরণ ছিল না তাই এতদিন রিভিউ দিতে পারিনি। সে জন্য দুঃখিত।
আমরা সচরাচর বিরিয়ানি কম খায়। কিন্তু আজকের বিরিয়ানি খেয়ে আমার হাসব্যান্ড বলেছে এতো কম নিয়েছো কেন বেশি করে কিনে রাখো। হেবাং এ ব্যবহার করতে পারবা আর ধর্মীয় গুরু রা আসলে ও খাওয়াতে হবে। তাই আবার ১০ কেজি অর্ডার করলাম।
আমি তো এখন থেকে ভাইয়ার নিয়মিত কাস্টমার। আমাদের হেবাং এ ও পাবেন তুলশীমালা চালের ভাত।
Md Daloare Hossain –
হেবাং এ তুলশীমালা চাল নিয়মিত ব্যবহার করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
মায়মুনা আক্তার (verified owner) –
আজকে তুলশীমালা চালের পোলাও করেছিলাম,,, মজা হয়েছে।
Md Daloare Hossain –
আপনার ফিডব্যাক জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Irin Akter Rita (verified owner) –
রাত নয়টায় শরীর হঠাৎ খারাপ লাগায় ভেবেছিলাম রাতে কিছু একটা কিনে এনে সবাই কে খেতে বলবো রান্না করবো না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই মনে হলো একটু কষ্ট করে তুলশী মালা চালের খিচুড়ি রান্না করে ফেলি আর সাথে ডিম ভাজি আর মাছ ভাজা আর অল্প একটুখানি আমের আচার হলেই তাহলে সবাই অন্তত তৃপ্তি করে খেতে পারবে। রান্না ঘরে গিয়ে ঝটপট তুলশী মালা চালের খিচুড়ি রান্না করে ফেললাম।এখন কণ্যাদের খাওয়াও শেষের দিকে।
Md Daloare Hossain ভাইয়া আপনি শেরপুরের তুলশী মালা চাল আমাদের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বলেই আজ যেকোনো পরিস্থিতিতেই ঝটপট ঘরেই রান্না করে খেতে পারি মনের মতো করে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Md Daloare Hossain –
যেকোন পরিস্থিতিতে তুলশীমালা চাল ব্যবহার করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
Irin Akter Rita (verified owner) –
Md. Daloare Hossain ভাইয়ের তুলশি মালা চাল দিয়ে আজকের সেহেরীতে সাদা ভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। সারাদিন দৌড়ের উপর ছিলাম রাত ১২ টায় রান্না করতে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ। পবিত্র মাহে রমজানের সেহেরী শেষ করলাম।
Md Daloare Hossain –
জেনে অনেক ভালো লেগেছে।
Arjena Hoque Sheboty (verified owner) –
আজকে দুপুরের আয়োজন ছিল তুলশী মালা চালের পোলাও, মুরগীর কোর্মা, ইলিশ ভাজা,আর সাতকড়া দিয়ে গরুর মাংস ভুনা।ভাল হয়েছিল খাবার,শাশুড়ী মা,মেয়ের বাবা বলেছেন। আলহামদুলিল্লাহ ভাল কেটেছে আজকের দিন।
Md Daloare Hossain –
আপনাদের ভালোলাগার কথা শুনে আমারও অনেক ভালো লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ